অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট সিলেটে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট-ছাতক রেলপথ পানির তীব্র স্রোতে রেললাইনের অধিকাংশ স্থানে স্লীপারের নিচের .
মাটি ও পাথর সরে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল বিশাল গর্ত। পানির বেগে রেললাইন উপড়ে গেছে একাধিক স্থানে।ফলে ২০২০ সাল থেকে বন্ধ থাকা ট্রেনের এই পথটি স্বাভাবিক হওয়া নিয়ে রয়েছে সর্বসাধারণের মধ্যে অনিশ্চিয়তা। সিলেট হতে ছাতক পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথটি ১৯৫৪ সালে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ করার পর থেকে এই রেলপথটিতে তার আপন গতিতে ট্রেন চলাচল শুরু করে। উক্ত লাইনে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ট্রেন এ অঞ্চলের যাত্রীদের সেবায়একনিষ্ঠ ছিল।ট্রেনে প্রায় ৪৫ মিনিটে ছাতক হতে সিলেট পৌঁছাতেন মানুষ জন।সিলেট হতে ছাতক পৌঁছাতে ট্রেন পথিমধ্যে খাজাঞ্চি -সৎপুর - আফজলাবাদ এইতিনটি ষ্টেশনে যাত্রা বিরতি করে।এই সব ষ্টেশন থেকে এলাকার প্রায় কয়েক হাজার মানুষ সিলেটে আসা-যাওয়া করতো।সিলেটে পৌঁছাতে এক সময় এই ট্রেনই ছিল যাতায়াতের একমাত্র বাহন। কিন্তু দূর্ভাগ্য ১৯৮৬ সাল থেকে এইরেল পথে মন্দা ভাব দেখা দেয়।শিল্পনগরীছাতকথেকেচুনাপাথর, সিমেন্ট, স্লীপার,বালু, বোল্ডার পাথর দেশে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হতো রেলপথে। করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে দীর্ঘ আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর এবার দিত্বীয় ধাপের বন্যায় রেললাইন একাধিক জায়গায় উপড়ে গিয়ে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সেই রেললাইন আদৌ কি মেরামত হবে বা মেরামত করে কবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে প্রশ্ন এই অঞ্চলের ভুক্তভোগী যাত্রী সাধারণের। . .
ডে-নাইট-নিউজ / মিজানুর রহমান মিজান,সিলেটবিশ্বনাথঃ
আপনার মতামত লিখুন: